Victoria Memorial hall ticket price,opening time, and history in Bengali

Victoria memorial(ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল )hall opening time ; closing time ; Victoria memorial hall ticket price in history(ইতিহাস) in Bengali language

ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলো পশ্চিমবঙ্গের তথা গোটা ভারত ভারতবর্ষের এক গৌরবময় স্মৃতি সৌধ যা, ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যের রাজধানী কলকাতাতে অবস্থিত।

Victoria memorial hall opening and closing time

ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল খোলার সময় যথা –

ভিক্টোরিয়ার মেমোরিয়াল গ্যালারি  খোলার সময় সকাল 10am থেকে সন্ধে 6pm পর্যন্ত(শুধুমাত্র সোমবার এবং জাতীয় ছুটির দিন বন্ধ থাকে)ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এর বাগান খোলার সময় সকাল 6am থেকে সন্ধ্যা  6pm পর্যন্ত।

Victoria memorial hall ticket price

ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এর গ্যালারি অথবা বাগান দেখার জন্য অবশ্যই টিকিট কাটতে হবে।

  • ভারতীয় নাগরিকদের টিকিট মূল্য 30 টাকা।
  • ভারতীয় প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের টিকিট মূল্য 100 টাকা।
  • এবং বিদেশি নাগরিকদের জন্য টিকিট মূল্য 500 টাকা।
  • শুধু বাগান দেখার জন্য টিকিট মূল্য 20 টাকা।

Victoria memorial hall history in Bengali

কলকাতার তাজমহল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল শাহজাহান নির্মিত তাজমহলের সাথে নির্মাণগত দিক থেকে মিল থাকায় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালকে কলকাতার তাজমহল নামে পরিচিত। কলকাতার অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন স্থান এই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল। এই মেমোরিয়াল তৈরির পেছনে ইতিহাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ব্রিটিশ ভারতে তখন রানী ভিক্টোরিয়া রাজত্ব ছিল বিশ্বজুড়ে শক্তি স্থায়িত্বের এক অনন্য প্রতীক। ১৯০১ সালে ২২ শে জানুয়ারি রানের মৃত্যু হলে সে খবর তখন কলকাতা বাঁশি ইংরেজ গোষ্ঠীকে বিশাল ভাবে আঘাত করে। ব্রিটিশ ভারতে তখন বড়লাট ছিলেন লর্ড কার্জন। তিনি ১৯০১ সালে ৬ ফেব্রুয়ারি কলকাতার টাউন হলে স্মরণসভায় আয়োজন করেন। ইতিহাস সচেতন কার্জন সাহেব সেই সভাতে রাণী স্মৃতিতে এক বিশাল স্মৃতিসৌধ তৈরীর করার পরিকল্পনা পেশ করে। কিন্তু ওই সময় এই প্রস্তাব ছাড়াও আরো কিছু পরামর্শ রাখা হয়েছিল। তিনি সুপারিশ করিয়েছিলেন শিয়ালদহ স্টেশনের চারপাশে খালি জায়গাতে এই স্মৃতিসৌধ করা হোক, আবার কেউ কেউ চেয়েছিলেন স্মৃতি সৌদটিতে ভারতীয় পুরান নথিপত্র এবং ভারতের বিভিন্ন ঐতিহাসিক জিনিস থাকবে। কিন্তু কার্জন সাহেবের মাথায় অন্য পরিকল্পনা ছিল, যেহেতু কলকাতা তৎকালীন ভারতের রাজধানী ছিল তাই তিনি চেয়েছিলেন ব্রিটিশদের নির্মিত কিছু স্থাপত্য এই শহরে থাকুক।

প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছিল স্থাপত্যটি নির্মিত হবে রানী ভিক্টোরিয়ার স্মৃতিতে অন্যদিকে এটি একটি সংগ্রহশালায় কাজ করবে। মূলত কার্জন সাহেবের উদ্যোগে এই স্থাপত্যটি তৈরীর জন্য কলকাতার ময়দান সংলগ্ন অঞ্চলে ৬৪ একর জমি বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু এত বড় স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জন্য যেমন অনেক টাকার প্রয়োজন ছিল সেই সঙ্গে প্রয়োজন ছিল একদম দক্ষ প্রযুক্তি বিদ্যার। প্রায় এক কোটি পাঁচ লক্ষ টাকার বরাদ্দ করা হয়েছিল এই ভবন নির্মাণের জন্য। এই বিশাল পরিমাণ অর্থের জন্য বিভিন্ন জনের কাছ থেকে সাহায্য নেওয়া হয়েছিল। অবশ্য প্রত্যেকেই এই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ফলে বিশাল অংকের অর্থ সংগ্রহ করতে বিশেষ কোনো অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়নি।

ব্রিটিশ ইনস্টিটিউট অফ আর্কিটেক্টের প্রেসিডেন্ট স্যার উইলিয়াম এমারসন এই পরিকল্পনা ও নকশা প্রস্তুত করেছিলেন।বিভিন্ন উদ্যান গুলি নকশা প্রস্তুত করেছিলেন রেডসডেল এবং ডেবিড পারেন। তবে আর্কিটেক হিসেবে এই ভবন নির্মাণের তত্ত্বাবধান করেন বেঙ্গল নাগপুর রেলওয়ে এর অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার ভিন্সেন্ট যে ইস্চ। তিনি বাগানের চারিপাশে থাকা গেট গুলি নকশা করেন। ১৯০২ সালে এমারসন ভবনটির মূল নকশা এঁকে ফেলার দায়িত্ব দেন। প্রায় ১০৩ মিটার লম্বা ৬৯ মিটার চওড়া এবং ৫৬ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট স্মৃতিসৌধটি তৈরি করার দায়িত্ব দেওয়া হয় মেসার্স মার্টিন এন্ড কোম্পানির উপর।

যেহেতু কার্জন সাহেবের কাছে তাজমহল খুবই আকর্ষণীয় ছিল সেই কারণে তিনি ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল নির্মাণের ক্ষেত্রে কোন খুত রাখতে চাননি তাই তাজমহলে যে সাদা মার্বেল ব্যবহার করা হয়েছিল এই ভবন নির্মাণেও সেই একই মারবেন ব্যবহার করা হয়। ১৯০৫ সালে কার্জন সাহেব যখন ভারত ছেড়ে চলে যান তখন এই নির্মাণ কাজ ঠিকমতো শুরু হতে পারেনি, কারণ কার্জন পরবর্তী ভাইসরয় এই ভবন নির্মাণের ব্যাপারে ততটা উৎসাহ দেখাননি। তাই ভবন নির্মাণের প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীখ্যাতে অনেক দেরি হয়ে যায়। ভবনটির সাবসট্রাকচারের কাজটি শুরু হয় হাজার ১৯০৪ সালে। ১৯০৬ সালে ওয়েলসের রাজা পঞ্চম জর্জ এই ভবনের ভিত্ত  প্রস্তর স্থাপন করেন। আর ভবনের সুপার স্ট্রাকচার নির্মাণের কাজ শুরু হয় চার বছর পর। ১৯২১ সালে ২৮ শে ডিসেম্বর জনসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.